প্যারিস চুক্তিতে উল্লেখিত সীমা ১.৫ ° সে লংঘিত হলে কষ্টার্জিত উন্নয়ন সুবিধা এবং বরধিত উৎপাদনশীলতা অবনমিত হবে। জলবায়ু প্ররোচিত অনিয়মিত দুর্যোগ এবং ক্ষতি বাংলাদেশের জনগন এবং অর্থনীতি কর্তৃক মুখোমুখি হওয়া হুমকির একটি অংশ মাত্র। অন্যান্য ধীর প্রভাব যেমন, খরা, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, সমুদ্রে অম্লতা, অধিক দীর্ঘস্থায়ী হয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষার জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।
“মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা”টি নাজুক জনগোষ্ঠী, শিল্প ও সরকারকে জলবায়ু প্ররোচিত ধংসাবলী ও ক্ষতি সমুহকে নিবারন করতে প্রস্তত করবে। পরিকল্পনাটি হবে নুতন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দৃষ্টান্ত যা নাকি ক্ষুদ্র ব্যবসা,নাজুক জনগোষ্ঠী ও অর্থনীতির জন্য সহিষ্ণুতা ও স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে।
উচ্চ মধ্যম আয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য সমূহ পূরনের জন্য একটি দ্রতগামী পথ রচনার উদ্দেশ্যে “মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা” বাংলাদেশের ৮ম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২৫),ভিশন ২০৪১ এবং জলবায়ু পরিবর্তন কৌশলপত্র ও কর্ম পরিকল্পনার সাথে সমন্নয়কৃত বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০,জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং ২০ও০ সালে দাখিলকৃত জাতীয় ভাবে নির্ধারিত অবদানকে অর্থায়নের বিষয়ে সুবিধা প্রদান করবে।
“মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন, নতুন নতুন বেসরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে ২০২৬ সনে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরনকে মসৃণ করবে।এটা বেসরকারি উৎস, মিশ্রিত অর্থ ও বরধিত অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিশ্বব্যপী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের মাধ্যমে উন্নত বাজার প্রবেশাধিকার, রপ্তানি প্রতিযোগিতা ও বহুমুখীকরণ এবং সর্বোপরি আর্থিক নিরাপত্তা ও সহিষ্ণুতা সহ পুজির উৎস বহুমুখীকরনকে সক্ষম করে তুলবে।
মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাংলাদেশের ট্রাজেক্টরিকে নাজুকতা হতে সহিষ্ণুতা, এবং সহিষ্ণুতা হতে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে। এই উত্তরন ঘটাতে হবে ২০৩০ সনের মধ্যে, যদিও মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা কৌশলগতদিকে দীর্ঘ মেয়াদি। এবং এই পরিকল্পনার প্রেক্ষিত ২০৪১ এবং মধ্যে শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ও Climate Vulnerable Forum ভিশন ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সাথে সংগতিপূর্ণ।